ভালো অনেককেই লাগতে পারে। কিন্তু বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তো হুট করে নেওয়া যায় না। সেজন্য সময় নিতে হয়। নানাদিক চিন্তা করতে হয়। নারীর রূপ দেখে মন গললেও সঙ্গে সঙ্গে ‘হ্যাঁ’ বলে দেবেন না। বরং আরেকটু সময় নিন। বিয়ের জন্য যাকে পছন্দ করছেন তার ভেতরে কিছু গুণ দেখতে পান কিনা খেয়াল করুন।
নারী-পুরুষ মিলেই সংসার। যাকে বিয়ে করছেন তার ভেতরে মৌলিক কিছু গুণ না থাকলে আপনার সংসার সহজ ও সুন্দর হবে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষেরা বুঝতে পারে না, কেমন নারীকে বিয়ে করা উচিত। সেক্ষেত্রে তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন। তাই বিয়ের আগে নারীর এই ৫ গুণ আছে কিনা খেয়াল করে দেখুন-
বুদ্ধিমতি
বিয়ে করলে অবশ্যই বুদ্ধিমতি নারীকে বিয়ে করবেন। কারণ পরবর্তীতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কাটিয়ে উঠতে পারবেন। একজন নারী বুদ্ধিমতি কিনা তা তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেই আঁচ করতে পারবেন, যদি আপনি নিজে বুদ্ধিমান হন। তাই বিয়ের আগে নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে একজন বুদ্ধিমতি নারীকে খুঁজে নিন
ধৈর্যশীল
জীবনে টিকে থাকতে হলে ধৈর্য থাকাটা খুব জরুরি। যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্যও থাকা চাই ধৈর্য। সংসার করতে গেলে নানা ঝড়-ঝঞ্ঝা পাড়ি দিতে হতে পারে। একজন ধৈর্যশীল নারী এক্ষেত্রে সামলে উঠতে পারবেন। তাই যে নারী ধৈর্যশীল, তাকে বিয়ে করুন। এতে আপনার জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান সহজ হবে।
শিক্ষিত
কেবল সার্টিফিকেটেই নয়, মানুষের আচরণেও শিক্ষিত ছাপ থাকাটা জরুরি। আপনার পছন্দের নারীর আচরণে তার শিক্ষিত স্বভাব কতটা স্পষ্ট সেদিকে খেয়াল করুন। যখন এমন কোনো নারীর দেখা পাবেন, সুযোগ থাকলে তাকে বিয়ে করে নিন। একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে পারে।
সামাজিক
যাকে বিয়ে করবেন তিনি কতটা সামাজিক সেদিকে খেয়াল করুন। যে সহজে মিশতে পারে তার পক্ষে সবার মন জয় করা অনেক সহজ হয়। সমাজে মিশতে পারে এমন নারী নিঃসন্দেহে গুণবতী। বিয়ের পরবর্তী জীবন সুখী করতে চাইলে এমন নারীকে বিয়ে করুন। এতে আপনার সংসারে শান্তি বজায় থাকবে।
আপনাকে ভালোবাসে
যে আপনাকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসে, তাকে খুঁজে পেলে আর ভাবাভাবির দরকার নেই। কারণ কেউ যখন মন থেকে ভালোবাসে, তার অন্য গুণগুলো গৌণ হয়ে যায়। ভালোবাসা কে না পেতে চায়! তাই যে আপনাকে ভালোবাসে তার সঙ্গে আপনি ভালো থাকতে পারবেন।